নতুন নিয়মে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন|Jonmo nibondhon online apply

জানুন নতুন নিয়মে কিভাবে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করবেন, নতুন জন্ম নিবন্ধন এর জন্য আবেদন, পুরাতন জন্ম নিবন্ধন ডিজিটালাইজেশন করা, জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্র প্রিন্ট থেকে শুরু করে জন্ম নিবন্ধন ডাউনলোড করা সকল বিষয় আজকের এই পোস্টে আপনারা জানতে পারবেন।

এছাড়াও Jonmo nibondhon online apply অর্থাৎ jonmo nibondhon abedon অনলাইনে মাধ্যমে হাতে থাকা মোবাইল ফোন এবং কম্পিউটার ডিভাইসকে ব্যবহার করে আবেদন থেকে শুরু করে সকল খুঁটিনাটি বিষয় আজকের এই আর্টিকেল থেকে এ টু জেড আপনারা জানতে পারবেন।

জন্ম নিবন্ধন কি?

জন্মের পর সরকারি খাতায় প্রথম নাম লেখাই জন্ম নিবন্ধন। একজন শিশুর জন্মের পর নিজের দেশকে বা বিশ্বকে আইনগত ভাবে জানান দেওয়াই একমাত্র জন্ম নিবন্ধনের মূল কাজ। অর্থাৎ আরো পরিষ্কার ভাবে বললে নবজাতকের একটি নাম ও একটি জাতীয়তা নিশ্চিত করতে এটি হচ্ছে প্রথম আইনগত ধাপ।

জন্ম নিবন্ধন এর প্রয়োজনীয়তা

বর্তমান সার্ভেতে দেখা যায় নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন এই বিষয়টি লিখে হাজারো মানুষ প্রতি মিনিটে গুগলে সার্চ করছে। কেন জন্ম নিবন্ধন আবেদন লিখে সার্চ করছে এই বিষয়টি জানার জন্য জন্ম নিবন্ধনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানতে হবে।

জন্ম নিবন্ধন কি? কি কাজে বর্তমানে ব্যবহৃত হচ্ছে? তার একটি লিস্ট নিচে আমি দিয়ে দিচ্ছি। যাতে খুব সহজে আপনারা জন্ম নিবন্ধনের গুরুত্ব সম্পর্কে বুঝতে পারেন।

২০০৯ সাল থেকে ১৬ টি মৌলিক সেবা পেতে জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন হবে

  1. পাসপোর্ট সংক্রান্ত ইস্যু করার কাজে জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন পড়বে।
  2. বিবাহ নিবন্ধনের কাজে জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন হবে।
  3. যেকোনো ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির কাজে জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন হবে।
  4. সরকারি বেসরকারি ও সাহিত্য শাসিত প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দানের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন পড়বে।
  5. ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরির ক্ষেত্রে বা লাইসেন্স ইস্যু ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন রয়েছে।
  6. ভোটার তালিকা প্রণয়নের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন রয়েছে।
  7. জমি রেজিস্ট্রেশন এর ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন রয়েছে।
  8. যেকোনো ধরনের ব্যাংকিং একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন রয়েছে।
  9. আমদানি বা রপ্তানি বা উফই লাইসেন্স প্রাপ্তির ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন রয়েছে।
  10. সরকারি গ্যাস পানি টেলিফোন ও বিদ্যুৎ সংযোগের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন রয়েছে।
  11. টিন সার্টিফিকেট তৈরীর ক্ষেত্রেও জন্ম নিবন্ধনের প্রয়োজন রয়েছে।
  12. ঠিকাদারি লাইসেন্স প্রাপ্তির ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন এর প্রয়োজন আছে।
  13. বাড়ির নকশা অনুমোদনের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধনে প্রয়োজন আছে।
  14. গাড়ির স্টেশনে ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধনে প্রয়োজন রয়েছে।
  15. ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তির ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধনে প্রয়োজন আছে।  
  16. জাতীয় পরিচয় পত্র প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেই জন্ম নিবন্ধন।

উপরের এই সকল বিষয়ে জন্ম নিবন্ধন এর ব্যবহার রয়েছে কিন্তু বর্তমানে ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সকল ক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়ে।

নতুন জন্ম নিবন্ধন এর জন্য আবেদন করতে কি কি লাগে?

নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে যে সকল ডকুমেন্টস প্রয়োজন হয় তা আগে থেকেই সংগ্রহ থাকলে অনলাইনে জন্ম
নিবন্ধন আবেদন করতে সহজ এবং সময় লাগে
কমএজন্য নতুন জন্ম নিবন্ধন এর জন্য আবেদন করতে কি কি লাগে নিচে তার লিস্ট দিয়ে দিচ্ছে

  • টিকা কার্ড  বা হাসপাতালে ছাড়পত্র।     
  • হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ অথবা জমির খাজনা রশিদ।
  • আবেদনকারীর পিতা মাতার মোবাইল নাম্বার।

আবেদনকারীদের বয়স ভেদে কাগজপত্র/ডকুমেন্টস গুলি ভিন্ন হতে পারে  নিচে সেই বিষয়ে দেখে নিন –

আবেদনকারীর বয়স ০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যেই হলে –

  • আবেদনকারী টিকা কার্ড বা হাসপাতালে ছাড়পত্র।
  • আবেদনকারী যে বাসায় থাকে সে বাসার হোল্ডিং নাম্বার।
  • আবেদনকারীর পিতা- মাতার সচল মোবাইল নাম্বার।  
  • আবেদনকারীর পিতা মাতার ডিজিটাল বা অনলাইন জন্ম সনদপত্র (যদি থাকে)
  • আবেদান কারীর মাতা পিতার ভোটার আইডি কার্ড (যদি থাকে)

উপরের এই  ডকুমেন্ট আবেদনকারীর বয়স যদি শূন্য থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে হয়ে থাকে তাহলে প্রয়োজন হবে।

জন্ম নিবন্ধন আবেদনকারীর বয়স ৪৬ দিন থেকে ৫ বছর হলে-

  •  টিকা কার্ড অথবা স্বাস্থ্যকর্মীর প্রত্যয়ন পত্র সিল সিগনেচার সহ।        
  • পিতা-মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (যদি থাকে)
  • মাতা পিতার অনলাইন স্মার্ট ভোটার আইডি কার্ড (যদি থাকে)
  • প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের প্রত্যয়ন পত্র সিল সিগনেচার সহ।
  • বাসার হোল্ডিং নাম্বার।
  • জন্ম নিবন্ধন আবেদনকারীর পিতা মাতার মোবাইল নাম্বার।
  • অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবেদনকারীর ফরম জমা দেওয়ার সময় এক কপি রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি।

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার পূর্বে জন্ম নিবন্ধন আবেদনকারীর বয়স যদি ৪৬ দিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে হয় তাহলে অবশ্যই আপনি উপরের এই সকল ডকুমেন্টসগুলো সঙ্গে রাখবেন। সে ক্ষেত্রে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার জন্য সময় কম লাগবে।

Jonmo Nibondhon Abedon কারীর বয়স ৫ বছর থেকে তার ঊর্ধ্বে হলে –

  •  বয়স প্রমাণের ক্ষেত্রে মেডিকেল অথবা হাসপাতাল কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র দরকার হবে।   
  • প্রাথমিক বিদ্যালয় অথবা যেকোনো ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে।
  • মাতা -পিতার অনলাইন ভোটার আইডি কার্ড প্রয়োজন হবে।
  • পিতা-মাতার স্মার্ট অনলাইন জন্ম নিবন্ধন কপি প্রয়োজন হবে (যদি থাকে)  
  • আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে।   
  • বর্তমান আইন অনুসারে আরো কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হতে পারে।
  • সেক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদের সঙ্গে সরাসরি কথা বললে আরও সমাধান পাবেন।

আশা করছি আপনারা যারা নতুন অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার কথা ভাবছেন তাদের বয়স যদি পাঁচ বছরের উর্ধ্বে হয়ে থাকে তাহলে উপরের এই সকল কাগজপত্র আপনি আবেদন করা পূর্বে নিজের কাছে রেখে দিন।

অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম

আপনারা যারা নতুনভাবে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে চাচ্ছেন তারা নিচের ধাপ গুলি অনুসরণ করুন-

ধাপ ১# জন্ম নিবন্ধন আবেদন ব্যক্তির ঠিকানা নির্বাচন

প্রথমেই আপনি আপনার মোবাইল অথবা কম্পিউটার ডিভাইস Google এ গিয়ে এই লিংকটির” https://bdris.gov.bd/br/application উপরে ক্লিক করে এই আর সাইটটিতে প্রবেশ
করুন।
এখানে প্রথম ধাপে আপনাকে আপনার ঠিকানা নির্বাচন করার কথা বলা হবে। আপনি জন্ম নিবন্ধন আবেদন যে ঠিকানা থেকে করতে চান সেই ঠিকানাটি নির্বাচন করুন।

নতুন নিয়মে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন|

 

আমরা আপনাদেরকে দেখানোর জন্য “জন্মস্থান ” এই ঠিকানাটি নির্বাচন করেছি।

এরপর নিজের ছবির মত  জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদন কারীর ব্যক্তি পরিচিতির লিস্ট চলে আসবে। সেখানে জন্ম নিবন্ধন আবেদন কারীর নাম ঠিকানা, পিতা-মাতার কততম সন্তান এই সকল ইনফরমেশন গুলি সুন্দরভাবে ফিলাপ করে দিন।

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন

 

বিশেষ দ্রষ্টব্য – নাম প্রদান করার সময় আপনার যদি দুইটি অংশের নাম হয় তাহলে প্রথম অংশে আপনি আপনার নামের প্রথম অংশ দিন  এবং শেষ অংশে আপনি আপনার দ্বিতীয় অংশ দিন।

যদি আবেদনকারীর নাম ৩ অংশে হয়ে থাকে তাহলে প্রথম অংশে আপনার নামের দুই অংশ দিন এবং শেষ অংশে আপনার নামের শেষ অংশটি দিন।

জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদনকারীর নাম যদি  এক অংশের হয়ে থাকে তাহলে শুধুমাত্র আপনি এই ফর্ম এর শেষ অংশে আপনার নামটি দিয়ে দিন সে ক্ষেত্রে প্রথম অংশ ফাঁকা থাকবে।

আশা করছি নামের অংশে কিভাবে আপনারা ব্যবহার করবেন সে বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে বুঝতে পেরেছেন।

উপরের সকল ইনফরমেশনগুলি সঠিকভাবে ঠিকঠাক থাকলে আপনি আবারো চেক করে “পরবর্তী” বলে এ অপশনটির উপরে ক্লিক করে দিন।

ধাপ ২# জন্ম নিবন্ধন আবেদনকারীর মাথা ও পিতার তথ্য

এই ধাপে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদনকারী পিতা মাতার ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন এর নাম্বার এবং জাতীয়তা নিশ্চিত করতে হবে।

এখানে আপনি যখনই আপনার পিতা-মাতার ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন নাম্বার ইনপুট করবেন সঙ্গে সঙ্গে সক্রিয় ভাবে আপনার পিতা-মাতার নামটি চলে আসবে। মনে রাখবেন পিতা-মাতার ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র ছাড়া কোনভাবে আপনি আপনার অনলাইন ডিজিটাল জন্ম সনদপত্র তৈরি করতে বা আবেদন করতে পারবেন না।

জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন

 

এজন্য জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদন করার পূর্বে অবশ্যই আপনার পিতামাতার জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আছে কিনা সেটি চেক করে নিবেন। তবে জন্ম নিবন্ধন আবেদনকারীর বয়স যদি ২০০০ সালের পূর্বে হয়ে থাকে,তাহলে পিতা মাতার স্মার্ট জন্ম নিবন্ধন
নাম্বার না থাকলেও শুধুমাত্র মাতা পিতার নাম লিখে দিলেই চলবে. সেক্ষেত্রে মাতা পিতার স্মার্ট বা ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন নাম্বার প্রয়োজন নেই।
এই ধাপের সকল তথ্য গুলি পূরণ করা হয়ে গেলে “পরবর্তী ” এই অপশনটির উপরে ক্লিক করে দিয়ে পরবর্তী ধাপে প্রবেশ করুন।

ধাপ ৩# অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ব্যক্তির বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা

অনলাইন জন্ম নিবন্ধন এই ধাপে আপনার সামনে নিচের ছবি মত এরকম একটি ফিচার বা উইন্ডোজ চলে আসবে।
এখান থেকে আপনি কোনটিও না এই অপশন দুটির উপরে ক্লিক করে পরবর্তী অপশনটির উপরে ক্লিক করে দিন।

জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন

 

এখন আপনার সামনে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবেদনকারীর বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা প্রবেশ করার অপশনগুলি চলে আসবে
এখান থেকে আপনার স্থায়ী এবং বর্তমান ঠিকানা যদি একই হয়ে থাকে তাহলে আপনি লাল টিক মার্ক এর উপরে টিক মার্ক দিয়ে দিন। আর যদি আপনার বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা একইনা হয় সে ক্ষেত্রে আপনি দুইটি ঠিকানা দুই ভাবে নির্বাচন করুন।

জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন

 

উপরের সকল ইনফরমেশন গুলি ঠিকঠাক থাকলে পরবর্তী ধাপে যাওয়ার জন্য ” পরবর্তী ” এই অপশনটির উপরে ক্লিক করে দিন।

ধাপ ৪ # জন্ম নিবন্ধন সনদ আবেদনকারী তথ্য

এই ধাপে যে এই আবেদনটি করছে যার জন্য অথবা নিজে নিজের জন্য সেই বিষয়টি এখান থেকে নির্বাচন করতে হবে।

ধরুন আপনি যদি আপনার নিজের জন্যই আবেদনটি করে থাকেন তাহলে “নিজ” সিলেকট করে দিন। মূলত একজন শিশুর জন্ম নিবন্ধন করার জন্য দায়ী তার পিতা- মাতা-বড় ভাই -বড় বোন হয়ে থাকে।

আইনগতভাবে জন্ম নিবন্ধন আবেদনকারী তথ্যের জায়গায় মাতা পিতার নাম তথ্য দিয়ে দিন। এ ধাপে উপরের সকল ইনফরমেশন গুলি ঠিক ঠাক থাকলে ডান পাশে থাকা “পরবর্তী” এই অপশনটির উপরে ক্লিক করে দিন ।

জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন

 

উপরের সকল ধাপ গুলি যদি আপনি সঠিকভাবে উপরের দেখানো নিয়ম অনুসরণ করে করে থাকেন তাহলে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার সকল কাজগুলি এখানেই শেষ। এখন অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবেদন কপি প্রিন্ট দেওয়ার এবং পরবর্তী কাজ গুলি সম্পর্কে আলোচনা করছি।

ধাপ ৫ # নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন কপি প্রিন্ট

সঠিকভাবে Online Jonmo Nibondhon Apply করা হলে আপনি অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবেদন প্রিন্ট করার অপশন দেখতে পাবেন।

জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন

 

জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদন ফরম প্রিন্ট করে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ/ পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন অফিসে জমা দিতে হবে।

তাহলে পাঁচ কার্য দিবসের মধ্যে আপনি আপনার নতুন জন্ম নিবন্ধন কপি হাতে পেয়ে যাবেন অথবা অনলাইন থেকে নতুন জন্ম নিবন্ধন পত্র  ডাউনলোড  করতে পারবেন।

জন্ম নিবন্ধন আবেদন কপি প্রিন্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে লক্ষণীয় কিছু বিষয় –

আবেদন প্রিন্ট করার সময় খেয়াল করবেন, প্রিন্ট এর মধ্যে যেন Heater and Footer Information গুলো সম্পূর্ণভাবে দেখতে পাওয়া যায়। এটার ইনফরমেশন এর উপরে অ্যাপ্লিকেশন আইডি নাম্বার দেখা যায়। এপ্লিকেশন আইডি নাম্বার ছাড়া জন্ম নিবন্ধন পত্র পাওয়া সম্ভব না।

আবেদন পত্রটি জমা দেওয়ার সময় অবশ্যই আবেদনপত্রের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলি জমা দিবেন।

অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবেদন যাচাই

আপনার নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্রটি সম্পূর্ণভাবে জমা দেওয়া হয়ে গেলে জন্ম নিবন্ধন আবেদনপত্রের বর্তমান অবস্থা জানার জন্য। অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন যাচাই এই অপশন থেকে চেক করে দেখতে হবে।

অনলাইনের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্রটি চেক করার জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।তাহলে অনলাইনের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে এ টু জেড আপনারা জানতে পারবেন।

আশা করছি আর জন্ম নিবন্ধন আবেদন যাচাই করার মাধ্যম থেকে আপনার খুব সহজে আপনাদের জন্ম নিবন্ধনটি রেডি হয়েছে কিনা সে বিষয়টি জানতে পারবেন।

জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করার পদ্ধতি Digital Jonmo Nibondhon

Birth Certificate Digitalization – হাতের লেখা বাংলা জন্ম সনদ আপনি চাইলে মুহূর্তে অনলাইন ডিজিটাল জন্ম সনদে পরিবর্তন করতে পারবেন।মাত্র ৩ থেকে ৫ দিনের মধ্যে আপনার এনালগ জন্ম সনদকে ডিজিটাল জন্ম সনদে পরিবর্তন করতে পারবেন। এই কাজটি করার জন্য ধাপ গুলি অনুসরণ করুন।

আপনার এনালগ বাংলায় লিখা জন্ম নিবন্ধন পত্র যদি ১৭ সংখ্যার নাও হয় তবুও কোন সমস্যা নেই আপনি জন্ম নিবন্ধকের কার্যালয় থেকে এটি খুব সহজেই ১৭ সংখ্যার জন্ম নিবন্ধনে পরিবর্তন করতে পারবেন।

👉গুগল নিউজে সবার আইটি বিডি সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন

আপনার স্থায়ী ইউপি কার্যালয় গিয়ে আপনি শুধুমাত্র আপনার বাংলায় এনালগ জন্ম সনদকে ডিজিটাল জন্ম সনদ
পরিণত করবেন এই কথাটি বলে এবং আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলেই আপনার
এই কাজটি খুব সহজে করতে পারবেন।

পরবর্তীতে আপনার অ্যানালগ জন্ম সনদটি ডিজিটাল জন্ম সনদে পরিবর্তন হওয়ার আবেদনটি ঘরে বসে হাতে থাকা মোবাইল ফোন অথবা কম্পিউটার ডিভাইসকে ব্যবহার করে বর্তমান অবস্থা জানতে পারবেন।

জন্ম নিবন্ধন পূন: মুদ্রনের জন্য আবেদন করার নিয়ম

প্রথমে আপনি আপনার মোবাইল ফোন অথবা কম্পিউটার ডিভাইস দিয়ে এই লিংকটি ভিজিট করুন “https://bdris.gov.bd/br/reprint/addএরপরে আপনার সামনে জন্ম নিবন্ধন এর প্রতিলিপির জন্য আবেদন করার
সম্পূর্ণ প্রসেসটি চলে আসবে।

      এখানে প্রথমে আপনি আপনার পুরাতন জন্ম নিবন্ধন নাম্বারটি জন্ম নিবন্ধন নাম্বারের ঘরে প্রদান করুন।  এরপর আপনার এনালগ জন্ম নিবন্ধনে থাকা জন্ম তারিখটি ব্যবহার করুন। নিচে থাকা একটি ক্যাপচা বক্সে ক্যাপচাটি পূরণ করে “অনুসন্ধান“বাটনে ক্লিক করুন ।

জন্ম নিবন্ধন এর প্রতিলিপির জন্য আবেদন

এখন আপনার সামনে আপনার জন্ম নিবন্ধন আইডি, আপনার নাম, আপনার পিতার নাম, মাতার নাম, স্থায়ী ঠিকানা সকল বিষয়গুলি দেখাবে। নির্বাচন করুন “বাটনে ক্লিক করে কনফার্ম করুন।

এখন নিবন্ধক কার্যালয়ের নাম, নিবন্ধকের নাম মোবাইল নাম্বার ইত্যাদি প্রদান করে “সাবমিট,বাটনে ক্লিক করুন।

ব্যাস আপনার কাজ শেষ আপনার আবেদন পত্রটি নাম্বার দেখাবে সেটি সংরক্ষণ করুন এবং আবেদন পত্রটি প্রিন্ট করে নিন।

আবেদন পত্রটি স্বাক্ষর করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ অথবা পৌরসভায় জমা দিন।

কর্তৃপক্ষ আপনার আবেদন ফরম এর ফি জমা নিয়ে আপনার আবেদন ফরমটি রেখে দিবে। ২-৫ দিনের মধ্যে আপনার বাংলা জন্ম সনদ অর্থাৎ এনালগ জন্ম সন ইংরেজি জন্ম সনদে অর্থাৎ ডিজিটাল জন্ম সনদে পরিণত হয়ে যাবে।

 

নতুন নিয়মে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন

আশা করছি আপনারা যারা এনাল জন্ম সনদকে ডিজিটাল জন্ম সনদে পরিণত করতে চাচ্ছিলেন তারা উপরের এই দেখানো নিয়ম অনুসরণ করে খুব সহজে পুরাতন জন্ম সনদকে ডিজিটাল জন্ম সনদে পরিবর্তন করতে পারবেন।

জন্ম নিবন্ধন সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন

জন্ম নিবন্ধন কিভাবে করতে হয়?

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে এবং আবেদন পত্রটি প্রিন্ট করে আবেদনপত্রের সঙ্গে প্রয়োজনে কাগজপত্র ফটোকপি দিয়ে সিটি কর্পোরেশন অথবা ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে জমা দিতে হবে।

নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে কি কি প্রয়োজন?

শিশু বা ব্যক্তির বয়স অনুসারে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কিছুটা ভিন্ন হবে অর্থাৎ বয়সের ভিন্নতায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলি ভিন্ন রকম হবে।

জন্ম নিবন্ধন কোথায় থেকে পাওয়া যায়?

জন্ম নিবন্ধন ইউনিয়ন পরিষদ/ পৌরসভা /সিটি  কর্পোরেশন কার্যালয় থেকে পাওয়া যায়।

জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার সঠিক সময় কোনটি?

সাধারণত নতুন জন্ম নিবন্ধন এর জন্য শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করা উত্তম ।

জন্ম নিবন্ধন ফি কত টাকা?

৪৫ দিন পর্যন্ত আপনার শিশুর বয়স হলে আপনাকে কোন ফি প্রদান করতে হবে না ৪৫ দিন থেকে পাঁচ বছরে হলে ২৫ টাকা এবং পাঁচ বছর থেকে তার উপরে হলে ৫০ টাকা

জন্ম নিবন্ধন কতবার করা যায়?

একজন বাংলাদেশী নাগরিকের জন্য জন্ম নিবন্ধন একবারই করা যায়।

বিবাহিত নারীর ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন একই স্বামীর নাম লেখা যাবে কিনা?

বিবাহিত নারীর ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন স্বামীর নাম লেখার কোন সুযোগ বা
অপশন নেই।

পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন না থাকলে কিভাবে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করা
যাবে
?

২০২৩ সালের নতুন আইন অনুসারে ২০০১ বা তার পরে জন্মগ্রহণকারী সকল শিশুর জন্ম নিবন্ধন করতে পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক।

জন্ম নিবন্ধন হারিয়ে গেলে করণীয় কি?

জন্ম নিবন্ধন হারিয়ে গেলে আপনি নির্দিষ্ট জন্ম নিবন্ধন সনদ পুন: মুদ্রণের জন্য আবেদন এই ওয়েবসাইট থেকে আবেদন করতে পারবেন।

শেষ কথা – অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন সম্পর্কে উপরে আপনাদেরকে সম্পূর্ণ বিষয়টি পুঙ্খানু পুঙ্খানু এবং সহজভাবে বুঝানোর চেষ্টা করেছি। এছাড়াও আমি সব সময় এর সার্ভিস সম্পর্কিত সকল বিষয়ে পোস্ট লিখে থাকি।এছাড়াও প্রত্যেকটি পোস্টের সেই রিলেটিভ ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও তৈরি করে থাকে যাতে খুব
সহজে আপনার ভিডিও দেখেও এই বিষয়গুলি জানতে পারেন। তাই এই পোস্ট সম্পর্কে ভিডিও পেতে
নিচের ভিডিওটি দেখুন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য – সম্পূর্ণ ইনফরমেশন গুলো অনলাইন থেকে সংগৃহীত।

👉🙏লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

✅আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন 🤔

আপনার জন্য-

মোবাইল দিয়ে টিন সার্টিফিকেট তৈরি
(Tin Certificate) অনলাইনে টিন সার্টিফিকেট তৈরি করার নিয়ম

আমাদের আরো সেবা সমূহ :-

↘️আমার ভিডিওগুলো পাবেন যে সকল মাধ্যমে 👇

➡️YouTube চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️Facebook পেজ ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️Instagram চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️WhatsApp চ্যানেল ফলো করে রাখুন – এখানে ক্লিক করুন

➡️Telegram গ্রুপ ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️Treads চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️TikTok চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন

1 thought on “নতুন নিয়মে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন|Jonmo nibondhon online apply”

Leave a Comment